লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার সব বয়সী মানুষের আনাগোনায় মুখরিত এ বেড়িবাঁধ। মনোমুগ্ধকর পরিবেশ আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এখানকার বিশাল জলরাশি।প্রতি ঈদুল ফিতরও ঈদুল আযহা ছুটিতে লক্ষ্মীপুর জেলার অন্যতম মেঘনা নদীর পাড়ের অপরূপ এই দর্শনীয় স্থান গুলোতে হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমান। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ছুটে আসেন এখানে। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে ভিড় করেন অনেকেই। নদীর হিমেল হাওয়ায় শরীরটা জুড়িয়ে নিতে এখানে ছুটে আসছেন তারা। স্বামী, সন্তান, পরিবার-পরিজন নিয়ে দেখতে আসেন মেঘনা নদীতে জেলেদের রুপালি ইলিশ ধরার দৃশ্য কিংবা বিভিন্ন চর-ডুবো চরে গরু মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার বাথান।
দল বেঁধে আসতে দেখা গেছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদেরও। অনেকে নদীতে স্পিড বোট এবং নৌকায় করে ঘুরে দেখেন। শিক্ষার্থীরা মেতে উঠে ফুটবল ও সাঁতারে। বাঁধের জিওব্যাগের ভিতরের অংশ নিরাপদ হওয়ায় সকল লোক অনায়াসে নেমে পড়েন নদীর জলে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই টুরিস্ট স্পটে বাস, ট্রাক, পিক-আপসহ নানান যানবাহনে করে বুবুজেলা কিংবা মাইক বাজিয়ে উল্লাস করতে দেখা গেছে পর্যটকদের।
দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এসব স্থানগুলোতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে টুরিস্টদের বসার জন্য কিছু ছাতা ও স্ট্রিট সোলারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।ঈদে সড়কে নিরাপদ ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ব্যবস্থা গ্রহনে উপজেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসন ।
বেশকয়েকজন পর্যটক জানান, এখানে আমরা অত্যন্ত নিরাপদভাবে আনন্দ উপভোগ করছি। কোন ধরনের ঝামেলা নেই এখানে।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম শান্তুনু চৌধুরী জানান, পর্যটন স্পটের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং পর্যটকদের নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।