অস্থির করে তোলে বাজার। পনেরো রোজার পর দাম কিছুটা কমালেও এবার ঈদ পণ্যের ওপর থাবা বসিয়েছে। কারসাজি করে বাড়িয়েছে দাম। ফলে খুচরা বাজারে পোলাও চাল, ঘি ও মুগডাল এখন থেকেই বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি দুধ, চিনি, সেমাই ও কিশমিশের দামও বাড়তি। সঙ্গে মসলা পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্য কিনতে এখন থেকেই ক্রেতার বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এতে বরাবরের মতো এবারও ঈদ ঘিরে পণ্য কিনে ঠকছেন ভোক্তা। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক মাস রোজা রাখার পর ঈদে সব শ্রেণির মানুষ আনন্দে মেতে ওঠে। নতুন পোশাকের সঙ্গে সামর্থ্য মতো ঘরে ভালো খাবারেরও আয়োজন করা হয়। এতে বাজারে এক ধরনের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। আর এই চাহিদাকে পুঁজি করে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফা করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। ক্রেতার পকেট কাটতে বাড়ায় পণ্যের দাম। প্রতি বছরের মতো এবারও বাজারে সেই একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এক প্রকার নির্বিকার কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার রাজধানীর জিনজিরা বাজার, নয়াবাজার ও রায়সাহেব বাজার ঘুরে খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর রোজার ঈদের আগে ২০০ গ্রামের প্রতিপ্যাকেট চিকন সেমাই ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এবার ৪৫-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি খোলা চিকন সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকা দরে, যা আগে ১০০ টাকা ছিল। ২০০ গ্রামের প্রতি প্যাকেট লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা, যা আগে ৪০ টাকা ছিল। ৪০০ গ্রামের প্রতিপ্যাকেট পাস্তা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা, যা আগে ৭৫ টাকা ছিল। পাশাপাশি প্রতিকেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকা, যা ১৩০-১৪০ টাকা ছিল। এছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৭৮০ টাকা, যা গত বছর ৭২০-৭৫০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, যা গত বছর ১৭০-১৮০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা আগে ১১০-১১৫ টাকা ছিল।