তিনি বলেছেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আমি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জেনেছি। আমি এটাকে গুজবই মনে করি। আমার মনে হয় না এটা সত্য। ভিসা নিষেধাজ্ঞায় যদি আমি পড়েও থাকি তাতে আমার কিছু আসে যায় না। আমি কখনো আমেরিকা যাবো না। নাম থাকলে তাতে কি আসে যায়? আমি ২০ বছর আগে রাষ্ট্রের কাজে একবার আমেরিকায় গিয়েছিলাম। এরপরে আর কখনো যাইনি। সামনে যাওয়ার কোনো ইচ্ছাও নেই। আর কখনো যাবোও না। যারা চুরি চামারি করে টাকা আয় করে ও বিদেশে টাকা পাচার করে তাদেরই যাওয়ার দরকার আছে। অন্য মানুষের যাওয়ার দরকার নেই। বিচারপতি মানিক এখন যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তিনি দেশটির স্থায়ী নাগরিকও। যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত ভিসা নিষেধাজ্ঞায় তার নাম এসেছে বিভিন্ন মাধ্যমে। এ বিষয়ে গতকাল য্ক্তুরাজ্য থেকে টেলিফোনে কথা বলেন মানবজমিন এর সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি যুক্তরাজ্য অনুসরণ করবে কিনা জানতে চাইলে মানিক বলেন, আমি যুক্তরাজ্যের নাগরিক। আমেরিকার ভিসা নীতি তারা অনুসরণ করলেও আমার উপর তার প্রভাব পড়বে না। কারণ আমি সে দেশের স্থায়ী নাগরিক। আমার যুক্তরাজ্য যেতে ভিসা লাগে না। যুক্তরাজ্য কখনো ভিসা নীতি অনুসরণ করবে না। কারণ তারা একটি আইনের দেশ। তারা এসব কাজ করে না। আর এই ভিসা নীতি নিয়ে আমি একদমই চিন্তিত না। আমেরিকা ভিসা দিলো কি না দিলো তাতে আমার কিছু আসে যায় না। তিনি বলেন, এসব ভিসা নীতি দেশের উপর কোনো প্রভাব পড়বে না। নির্বাচনের উপর কোনো প্রভাব পড়বে না। ভিসা নীতির প্রভাব পড়বে বিএনপি জামায়াতের উপর। এই ভিসা নীতি চক্রান্তটি বিএনপি জামায়াতই করাচ্ছে। আমেরিকা বলেছে, যারা নির্বাচনে বিরোধিতা করবে তাদের উপর ভিসা নীতি আরোপ করা হবে। কিন্তু আমরাতো বির্নাচনের বিরুদ্ধে নই, আমরা নির্বাচনের পক্ষের লোক। তিনি বলেন, এই ভিসা নীতি দিয়ে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। আমাদের নির্বাচন আমরা করবো। এখানে আমেরিকার কিছু করার নেই।