রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ)। এ জন্য খরচ ধরা হয়েছিল ৫৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। প্রকল্প মেয়াদ ছিল ২০১৯ সাল পর্যন্ত। ১.৪২ একর জমির ওপর বঙ্গবন্ধু স্কয়ারটির বেজমেন্টের মধ্যে গাড়ি পার্কিং, আর্ট গ্যালারি ও জলধারাবেষ্টিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরি করা হবে। থাকবে প্রশস্ত গ্রাউন্ড ফ্লোর, যেখানে আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম, লাইটিং এবং ডিজিটাল স্ক্রিনযুক্ত স্থায়ী আর্ট গ্যালারি ও জাদুঘর। ফার্স্ট ফ্লোরের মধ্যে আধুনিক রেস্তোরাঁ, দৃষ্টিনন্দন ল্যান্ডস্কেপ, উন্মুক্ত স্থানে বসা এবং সুস্থধারার বিনোদনের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রাখারও পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ তো শেষ হয়ই-নি, উল্টো পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নকশা পরিবর্তন করায় এর ব্যয় এখন দাঁড়িয়েছে ১২৫ কোটি টাকায়। এর মধ্যেই প্রকল্পটির নকশা তৈরি ও সংশোধনের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিজেদের দুই কোটি টাকা ফি বাড়িয়ে সাড়ে তিন কোটি টাকা করার প্রস্তাব করেছে। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত সংশোধনী প্রস্তাবটি প্রজেক্ট ইভ্যালুয়েশন কমিটি (পিইসি) থেকে ছাড় পেয়ে গেছে। এখন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় পেলেই তা অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি বা একনেকে উঠবে। আরডিএ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ‘সাতত্য আর্কিটেকচার ফর গ্রিন লিভিং’ নামের একটি স্থাপত্য প্রতিষ্ঠানের দেওয়া নকশা চূড়ান্ত করা হয়। সেই সময় নকশার জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটিকে পরিশোধ করা হয় দুই কোটি টাকা। তবে নানা জটিলতায় ২০১৮ সালে প্রকল্পটি পাস হয়। অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু কাজের মাঝপথে এসে প্রকল্পটির নকশায় ব্যাপক পরিবর্তন আনে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। ফলে নকশা সংশোধনের পর প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৫ কোটি টাকায়। তবে প্রকল্পটির খরচ বাড়ার যৌক্তিকতা যাচাইয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি করা হয়। ওই কমিটি সরেজমিন পরিদর্শন করে এই ব্যয় বৃদ্ধিকে ‘ক্লিনচিট’ দিয়েছে। এর পর গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত পিইসির সভায়ও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।