নওগাঁ নিয়ামতপুরে শত বছর আগে গড়ে উঠে ঐতিহ্যবাহী বেলগাঁপুর হাট। কয়েকটি গ্রাম কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা এই বেলগাঁপুর হাট তখন থেকেই ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ছিল প্রসিদ্ধ। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখর থাকতো এই হাট। কিন্তু এখন আর আগের মতো নেই সেই প্রাণচাঞ্চল্য। কালক্রমে ঐতিহ্য হারিয়ে এখন কোনোমতে টিকে থাকা এ হাটটি বিলীন হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিয়ামতপুর ও তার আশপাশের এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম ঘটতো এই হাটে।ছটো বড় নৌকা ও গরু গাড়ি সহ ইঞ্জিল চালিত গাড়িতে করে ধান, পাট, চাল, গম, সরিষা, ডাল, পিয়াজ, রসুন, মসলাসহ বিভিন্ন শস্য, শাকসবজি, রাসায়নিক সার,কীটনাষ ইত্যাদি,পণ্য সরবরাহ করা হতো।
গরু ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রয় হতো,হাটটি স্থাপনের পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এ হাটটি ছিল এই অঞ্চলের বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র। পরবর্তী সময়ে বেলগাঁপুর রাস্তা যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় আধিপত্য হারাতে থাকে বেলগাঁপুর হাট। হাটের জমজমাট সেই চিত্র এখন শুধুই ‘ অতীত, নেই সেই প্রাণচাঞ্চল্য, নেই ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় ও আশানুরূপ বেচাকেনা। চারদিক থেকে পরিধি ছোট হয়ে এখন অল্প কিছু জায়গায় চলছে হাটের কার্যক্রম। হাটে সবজি বিক্রি করতে আসা ছাত্তার হোসেন বলেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে এই বেলগাঁপুর হাটে ব্যবসা করি, গ্রামে বিভিন্ন স্থানে আরও কিছু হাট বাজার গড়ে উঠেছে। সেজন্য এখন আগের মতো বিক্রি হয় না। সপ্তাহের একটি হাট রবিবার, তবে যদি এই হাটে বড়বড় বট বৃক্ষের ছায়ায়। ছাগল হাট বসার ব্যবস্থা করা হলে আবারো আগের মত বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসাবে প্রাণ ফিরে পাবে।হাট টি।ঐতিহ্যবাহী বেলগাঁপুর হাট টি দিনে দিনে বিলুপ্তির পথে, প্রশাসন যদি সু দৃষ্টি দিয়ে উন্নয়নে কাজ করে তাহলে সবার জন্য ভালো হবে। তা না হলে এই ঐতিহ্যবাহী হাটটি বিলুপ্তির হয়ে যাবে।’
১/৭/২০২৪#