হৈমন্তীর পাতা ঝরা
কুসুম – কাননে।
জ্বললো বুঝি! আনন্দ দ্বীপ
শীত বুড়ির আগমনে।
হৈমন্তী যে যাচ্ছে চলে
ঘুঙুর ছেড়ে পায়।
কুহেলী তাঁর দিচ্ছে পরশ,
শিশিরের ছোঁয়ায়।
শিহরিত সমীরের
দোলায়িত ফসল।
কৃষকের উল্লাসে,
হচ্ছে ঋতুর বদল।
মিষ্টি রসে উঠে ভরে
কৃষাণীর হাঁড়ি।
উল্লাসে মাতোয়ারা
যত নর -নারী।
এলোমেলো জোছনায়
ভাবের হয় মায়া।
বিষন্নতার গীত গাহে
হৈমন্তীর তনয়া।
বিবর্ণতার ছোঁয়া দেয়,
ক্লান্ত বিভাবরী।
এবার বুঝি !আসলো তবে
শুভ্র শীতের বুড়ি।
শিশিরের টুপটাপ
নীলাভ্রীর গায়ে।
হৈম তুমি ফিরো তবে
যাও নিজ গাঁয়ে।।