নেমে আসার খবর প্রকাশ হওয়ায় পরিস্থিতি আরও সংকটময় হয়ে ওঠার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে অনেকের মধ্যে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, তাদের হিসেবে গ্রস বা মোট রিজার্ভ ২৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেয়া সাম্প্রতিক কিছু পদক্ষেপের কারণে সামনে রিজার্ভ পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবশ্য মোট তেইশ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ দাবি করলেও আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল বা আইএমএফের হিসেবে রিজার্ভ আছে ১৮ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন দুইটি পদ্ধতিতে রিজার্ভ হিসাব করে থাকে। এর একটা হচ্ছে গ্রস বা মোট, অর্থাৎ যে পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা হাতে আছে, যা এখন ২৩.৭৭ বিলিয়ন ডলার। আরেকটা হচ্ছে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের পদ্ধতি- বিপিএম৬। সে অনুযায়ী এখন রিজার্ভ ১৮.৩২ বিলিয়ন। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে খবর এসেছে যে এই রিজার্ভের মধ্যে এই মূহুর্তে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ তের বিলিয়ন ডলারের সামান্য কম। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইএমএফ এর এসডিআর হিসেবে থাকা ডলারসহ সব ধরনের দায় দেনা শোধের জন্য জমা রাখা অর্থ বাদ দিয়ে রিজার্ভের যে হিসাব তৈরি করা হয়, সে অনুযায়ী এখনই ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ১৩ বিলিয়নের ডলারের কিছুটা কম, যাকে গণমাধ্যমে নিট রিজার্ভ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কখনোই নিট রিজার্ভের তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে না।