মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন
Title :
সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। কুলিয়ারচরে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর উদ্ভোধন সুন্দরবনের মধু ভারতের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর বাংলাদেশে এ নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। খুলনা জেলা পরিষদে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি রাশেদ নিজাম লাঞ্ছিত। আশ্রয়ন প্রকল্পের (গুচ্ছ গ্রামের) ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার আগেই ঘুষ নেয়ার অভিযোগ সংবাদ সম্মেলন শেষে হঠাৎ চারজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছেন মগরাহাট পশ্চিম এরিয়া কমিটির উদ্যোগে জোতি স্বরণে রক্তদান কর্মসূচি। নতুন অর্থবছরে দেশের সার্বিক অর্থনীতিকে প্রধান চারটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগোতে হবে। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ট্রানজিট চুক্তি হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌরসভায় বেলি ব্রিজের পাশে রাসেলস ভাইপার সাপ মারা হয়েছে আতঙ্কে এলাকাবাসী

পঞ্চগড়ে মহান মে দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে,

নিজস্ব প্রতিবেদক, মর্নিং বিডি ডট নিউজ
  • Update Time : বুধবার, ১ মে, ২০২৪
  • ৩৮ Time View

পঞ্চগড়ে প্রচন্ড তাপদাহের মধ্য দিয়ে পালিত হলো শ্রমিকদের মহান মে দিবস ২০২৪, আমরা সবাই শ্রমজীবী রাত পোহালেই শ্রম করি, আজ মহান মে দিবস সকল শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির প্রেক্ষিতে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত (১ লা মে ২০২৪), বিশ্বে ১৮৮৬ থেকে ২০২১। সময় তার আপন নিয়মে এগিয়ে চলেছে। হাত কেটে গেছে ১৩৫ বছর। তথাপি রক্ত, ঘাম আর অশ্রুতে মাখা মহান মে দিবস আজো সারা দুনিয়ার খেটে খাওয়া মানুষের মনে জাগায় উদ্দীপনা। ১৮৮৬ খালে হে মার্কেট স্কোয়ারে’ মে রক্তগোলাপ প্রস্ফুটিত হয়েছিল, তার সৌরভ ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। বাংলাদেশের সংগ্রামী শ্রমিকরা, ঐতিহাসিক মেয়ে দিবসের সেই আবেদনে সমভাবে সাড়া দেয় সারা বিশ্বে মেহনতি জনতার সঙ্গে। ভারতবর্ষে প্রথম মে দিবস পালিত হয়েছিল মাদ্রাজে ১৯২৩ সালে। কলকাতায় তথা অভিমুক্ত বাংলায় প্রথম মে দিবস পালিত হয় ১৯২৭ সালে। দেশ বিভাগের পূর্বে নারায়ণগঞ্জে মে দিবস পালিত হয় ১৯৩৮ সালে। দেশ বিভাগের (১৯৪৭) পরও মে দিবসের জমায়েত সহজ হলো না। তবে ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রান্ডের বিজয়ের পর প্রথমবারের মতো এদেশের শ্রমিক শ্রেণি সর্বপ্রথম বিপুল উৎসাহে মে দিবস পালন করে। আদমজিতে ৩০,০০০ শ্রমিক লাল পতাকা নিয়ে সভা ও মিছিলে অংশ নেয়।১৯৫৮ সালে আবার সব থমকে যায়, মুক্তির জন্য অপেক্ষা করতে হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা (১৯১৭) পর্যন্ত। এবং তার আগ পর্যন্ত মে দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকার মে দিবস কে সরকারি স্বীকৃতি দিয়ে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন (১লা মে ১৯৭২ ) জাতির উদ্দেশ্যে ঘোষণা দেন । সেই সাথে ঐতিহাসিক মে দিবস বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের কাছে একটি মহান দিন, একটি জনপ্রিয় দিন। সময় গড়িয়ে চলে, শ্রমিকদের কাফেলা কখনো থেমে থাকেনি। এর ভেতর স্বাধীনতার পরেও সামরিক আইনের যাতাকলেও পিষ্ট হতে হয় শ্রমিকদের। আবার শ্রমিকবান্ধব সরকারও এসেছে। একইসঙ্গে চলছে শ্রমিকদের পথ চলা। সরকারি পর্যায়ে প্রথম উদ্যোগ দেখা যায় স্বাধীনতার পর পরই । শ্রমনীতি ঘোষত হয় ২৭ শে সেপ্টেম্বর ১৯৭২ সালে। ঘোষণা করেন তৎকালীন শ্রমমন্ত্রী জহুর আহমেদ চৌধুরী। কিন্তু নানান সমালোচনার কারণে তা আর কার্যকর হয়নি। পরবর্তী সময়ে জারি হয় ১৯৮০ সালের শ্রমনীতি। বর্তমানে প্রচলিত আছে বাংলাদেশ শ্রমনীতি ১০১২। মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে শ্রমজীবী মানুষের অংশগ্রহণ ও প্রত্যাশা, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও নির্দেশনা, আন্তর্জাতিক শ্রম, অন্যান্য সনদ ও ঘোষণা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা হয় এই শ্রমনীতিতে।এ শ্রমনীতিতে সামাজিক নিরাপত্তার অঙ্গীকার উচ্চারিত করেছে।
বাংলাদেশের শ্রমকল্যাণ, শিল্প সম্পর্ক ও ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের ভুবনে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা’বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬’প্রণয়ন। স্বাধীনতার আগে অনেকগুলো শ্রম আইন ছিল, সে সকল পুরনো ও শ্রমিকদের স্বার্থবিরোধী ২৫ টি আইন বাতিল করে সমন্বিতভাবে একটি মাত্র আইনে নিয়ে আসা হয়। এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা। বাংলাদেশ এ ধরনের উদাহরণ আর নেই। ২০০৮ সালে একবার সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয় (বাংলাদেশ শ্রম সংশোধন অধ্যাদেশ ২০০৮) । তবে ২০২৩ সালে ব্যাপক সংশোধন করা হয় যা বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন ২০২৩ নামে অভিহিত । প্রায় ৮৩ টি ধারায় এই সংশোধনী আনা হয়। কিন্তু বিতর্ক-সমালোচনা অব্যাহত থাকে । অবশেষে ২০১৮ সালের ৫৮ নং আইন দ্বারা জারি করা হয় বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধনী) আইন ২০১৮। শ্রমক্ষেত্রের একটি দিক বিশেষত্বের দাবি রাখে। এখানে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। হয়েছে শ্রমিক, মালিক ও সরকার। সে সঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক সংগঠনের উপস্থিতি সর্বজনগ্ৰাহ্য , তাহলো আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ( আইএলও)। আইএলও জাতিসংঘের প্রথম বিশেষায়িত সংস্থা, এর কনভেনশন ও রিকমেন্ডেশনসমূহ খুবই গুরুত্ব বহন করে আন্তর্জাতিক বিশ্বে। বাংলাদেশ এযাবৎ ৩৫ টি কনভেনশন অনু সমর্থন (রেটিফাইড) করেছে। এর ভেতর প্রথম কনভেনশনটি সবচেয়ে আলোচিত যা মহান মে দিবসের আন্দোলনের ফসল। এর শিরোনামে কনভেনশন নং-১ কাজের সময় (শিল্প) কনভেনশন ১৯১৯ । বাংলাদেশ কর্তৃক অনুসমর্থিত গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ আইএলও’ র কোর কনভেনশনের মধ্যে আরো রয়েছে কনভেনশন নং-৮৭: সংঘবদ্ধ হওয়ার স্বাধীনতা ও সংগঠনের অধিকার সংরক্ষণ কনভেনশন ১৯৪৮: কনভেনশন নং ৯৮; সংগঠন করার ও যৌথ দরকষাকষির অধিকার কনভেনশন ১৯৮৪; কনভেনশন নং ১৮২ ; ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন কনভেনশন ১৯৯৯ প্রভূতি । এক থেকে ২০০৬ জারি এবং একাধিক সংশোধনী হওয়ার পরেও একটি বিধিমালার জন্য বাংলাদেশের শ্রমিক শ্রেণীকে অপেক্ষা করতে হয়েছে সুদীর্ঘকাল। অবশেষে জারি করা হয় বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ যার সর্বমোট বিধির সংখ্যা ৩৬৭ টি এবং ১ থেকে ৭ টি তফশিল ও ফরম আছে ৮০ টি । এটি অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। আরেকটি বিধি মালা সেই সাথে উল্লেখযোগ্য তা হলো বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন বিধিমালা ২০১০, যার একটি সংশোধনী আনা হয়েছে ২০২৫ সালে। তবে তার আগেই প্রণীত হয়েছিল বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন ২০০৬। আর একটি নতুন প্রণীত আইনও উল্লেখ করা যায়, তা হচ্ছে অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন ২০২০। বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের একটি বড়ো কারণ শিশুশ্রম। বর্তমানে ১৫২ মিলিয়ন শিশু পৃথিবী জুড়ে শিশু শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে, তার মধ্যে ৭৩ মিলিয়নই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িত। বাংলাদেশে ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সের ৪.৭ মিলিয়নের বেশি শিশু শিশুশ্রমে জড়িত এবং পাঁচ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে এই সংখ্যা ৭.৪ মিলিয়ন (সূত্র ইউনিসেফ) । অবশ্য এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে প্রণয়ন করেছে বহুল প্রতীক্ষিত শিশুশ্রম নিরসন নীতিমালা ২০১০। প্রণীত হয়েছে গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণনীতি ২০১৫। উল্লেখিত নীতিমালা ছাড়াও রয়েছে-রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা শিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া ও দুস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন নীতিমালা ২০২০ ; গ্

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © মর্নিং বিডি ডট নিউজ
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin