ঝালকাঠি শহরসহ উপজেলার প্রতিটি বাজারে দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম শুনে ক্রেতাদের মাথায় হাত। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের অজুহাতে দুই দিনের ব্যবধানে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পিঁয়াজের দাম। যে ক্রেতা গত হাটে এসে স্বল্প পরিমাণ পেঁয়াজ ক্রয় করতে পারলেও বর্তমান চড়া বাজার কিছু কিছু দোকানে গিয়ে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না পেঁয়াজ তখন তাকে প্রশ্ন করলে জবাবে দোকানদার বলে আরদে গেলে মালিক পক্ষের লোকজন মানি রিসিভ ছাড়া পেয়াজ নিতে বলে, পেঁয়াজের দাম শুনে সে ক্রেতার মাথায় হাত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি সাধারণ ক্রেতাদের। মাত্র দুদিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১২০টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করা হচ্ছে। হঠাৎ করে আমদানি বন্ধ এবং ভুতুড়ে দামবৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে ঝালকাঠি শহরসহ উপজেলার সাপ্তাহিক হাটে পেঁয়াজের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে এসকল তথ্য নিশ্চিত করেন খুচরা বিক্রেতারা। ভারতীয় পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে একই তালে বেড়েছে দেশী পেঁয়াজের দামও। মোকাম এ পেঁয়াজ সংকট দেশীও পেঁয়াজ বাজারে না আসা অবদি বাজার স্বাভাবিক হবেনা মন্তব্য করেন তারা। হাটে এসে ক্রেতাদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম হিরু জানান, আমার পরিবারে ৬জন সদস্য। আমাকে প্রতি হাটে প্রায় দুই কেজি পেঁয়াজ ক্রয় করতে হয়। আজ এসে পেঁয়াজের দাম শুনে আমি হতবাক। দুই কেজি পেঁয়াজ ক্রয় করতে হলে অণ্য বাজার করা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। খুচরা বিক্রেতারা জানান, ভারতে রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেবার পর থেকে প্রতি ক্ষণে ক্ষণে বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। রাতারাতি পেঁয়াজের এমন দাম বৃদ্ধির কারণে যেমণ ক্রেতাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে ঠিক তেমনি বিপাকে পড়েছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। কবে হাতের নাগালে আসবে পেঁয়াজের দাম এ প্রশ্নের কোন উত্তর মিলেনি বিক্রেতাদের নিকট।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি সাধারণ ক্রেতাদের।