পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গলায় ফাঁস অবস্থায় শামীমা আক্তার (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রী মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের উত্তর পূর্ব চালিতাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শামীমা আক্তার ওই গ্রামের মোঃ রুহুল আমিন শেখ’র মেয়ে এবং ধানখালী ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শামীমা আক্তারের পিতা শারীরিক প্রতিবন্ধী হুইল চেয়ারে চলাফেরা করে। তিন মাস পূর্বে পাশের গ্রামের মোঃ জাহিদুল ইসলামের সাথে ইসলামিক শরীয়ত মতে বিবাহ হয়। বেশ কিছুদিন শামীমা আক্তার মানসিক সমস্যায় ভুগতেছিল, মাঝেমধ্যে অসুস্থ হয়ে পরত এবং অজ্ঞান হয়ে যেত।
ঘটনার দিনে মা হাসিনা বেগম মেয়েকে ঘরে রেখে বাড়ির পাশে ওয়াবদার রাস্তার উপর স্বামীর দোকানে যায়। এই সুযোগে শামীমা আক্তার তার ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে ঘরের মেঝেতে ফ্যানের সাথে ফাঁস বেঁধে আ’ত্ম’হ’ত্যা করে। পাশের ঘরের তাসলিমা বেগম চাচি ঘরের সামনে আসে শামীমা আক্তারের মাকে ডাক দেয় কোন সারা শব্দ না পায়ে ঘরে ঢুকে শামীমা আক্তারকে ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে ডাক-চিৎকার করলে শামীমা আক্তারের মা সহ আশপাশের লোকজন আসে তাড়াতাড়ি করে নামাইয়া মোটরসাইকেল যুগে কলেজ বাজার গ্রাম্য ডাক্তার আবু হাসান এর ক্লিনিকে নিয়ে গেলে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে দ্রুত কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। কলাপাড়া নেওয়ার পথে উকিল বাড়ির সামনে গেলে শামীমা আক্তার মারা যায়। পরে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে এবং কলাপাড়া থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়।
কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ আলী আহম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ সদস্য পাঠানো হয়েছে, তারা মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় এনে ময়লা তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।